,

নিয়মিত ঘুমের সমস্যায় যেসব বিষয় মানা জরুরি

সময় ডেস্ক : সুস্থ থাকতে ভালো ঘুমের বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে সারাদিনই শরীর ক্লান্ত লাগে। দিনের পর দিন ঘুমের সমস্যায় শরীরে নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। অনেকেরই ঘুম না হওয়ার সমস্যা আছে। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে ভালো ঘুমের কিছু টিপস জানানো হয়েছে। হিউম্যান এজ-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ডা. মার্কাস রানির মতে, কোনো কারণে যদি ঘুমের চক্র একদিন বিঘ্নিত হয় তাহলে চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু, যদি এটি নিয়মিত ঘটে তাহলে অবশ্যই তা ঠিক করতে হবে। কারণ সঠিক ঘুমের অভাবে শরীরের কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত হয়। এতে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও কমে যায়। ডা. মার্কাস রানি জানান, সুস্থ থাকতে কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। তবে এই সংখ্যাটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে পরিবর্তিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ক্রীড়াবিদের দিনে কমপক্ষে ১০ ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমের প্রয়োজন হতে পারে,কারণ তারা প্রচুর মানসিক এবং শারীরিক চাপের মধ্যে থাকেন। শুধুমাত্র ঘুমানোর সময়ই শরীরের সামগ্রিক যত্ন হয়।
ডা. মার্কাস ঘুমের জন্য কয়েকটি প্রাকৃতিক পদ্ধতির কথা বলেছেন। যেমন- আরামদায়ক পরিবেশ : ঘুমের জন্য ঘরের আদর্শ তাপমাত্রা প্রায় ১৮ ডিগ্রি নিশ্চিত করুন। ঘুমের সময় শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়, তাই ঘর ঠান্ডা থাকলে ঘুম ভালো হবে।
ঘুমানোর আগে গ্যাজেট ব্যবহার না করা : বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে,ঘুমের আগে গ্যাজেট ব্যবহার ঘুম ব্যাহত হওয়ার অন্যতম কারণ। ফোন, ল্যাপটপ, টিভির মতো গ্যাজেট থেকে নির্গত নীল আলো ঘুমের সমস্যা করে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঘুমের অন্তত এক ঘন্টা আগে অবশ্যই এসব ডিভাইস থেকে দূরে রাখতে হবে।
ঘুমের রুটিন : ঘুমানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন। এর অর্থ হলো ঘুমানোর আগে গ্যাজেট থেকে দূরে থাকা, অল্প হাঁটা, বই পড়া, দাঁত ব্রাশ করা, একটি নির্দিষ্ট সময়ে ত্বকের যত্নের রুটিন অনুসরণ করা। মস্তিষ্ক এই কার্যকলাপগুলিকে ঘুমের সাথে যুক্ত করে। আপনাকে জানান দেবে ঘুমানোর সময়ের ব্যাপারে।
রাতে ঠিক সময়ে খাওয়া : বিশেষজ্ঞরা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা এড়াতে ঘুমানোর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। ডা. মার্কাসের মতে,ভালো ঘুমের জন্য সন্ধ্যায় ক্যাফিন এবং অ্যালকোহলের ব্যবহার কমাতে হবে। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির করা একটি সমীক্ষা অনুসারে, খাবারের সময় শুধুমাত্র ভাল ঘুমেরই সহায়ক নয়, এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও উপকারী।
সন্ধ্যায় কঠোর শরীরচর্চা এড়িয়ে যান : ফিটনেসের জন্য শরীরচর্চা গুরুত্বপূর্ণ হলেও সন্ধ্যায় কঠোর শরীরচর্চা থেকে বিরত থাকুন। তবে সন্ধ্যায় হালকা ব্যায়াম যেমন-স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম এবং মেডিটেশন শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।


     এই বিভাগের আরো খবর